ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন
সিনিয়র সচিব
সুরক্ষা সেবা বিভাগ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ইমেইল: secretary@ssd.gov.bd
অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম
সুরক্ষা সেবা বিভাগ ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) হতে বিদেশী কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট প্রদানের নিমিত্ত নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিকট আবেদনপত্র প্রেরণ করা হত। বিদেশী কর্মীদের উক্ত আবেদনপত্র গুলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (NSI) সংস্থায় তাদের মতামতের জন্য প্রেরণ করা হত। সেই আবেদনের উপর স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (NSI) থেকে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রতিবেদন পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উক্ত বিদেশী কর্মীদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে প্রেরণ করত। এই পুরো প্রক্রিয়াটি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চলার কারণে বিদেশী নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট পেতে অনেক সময় লেগে যেত।
গুরুত্বপূর্ণ এই সেবাটি সহজীকরণের জন্য ০১.০৬.২০১৫ খ্রি. তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের মধ্যে এক চুক্তির মাধ্যমে অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম কার্যক্রম শুরু করা হয়।
অদ্যাবধি এই সিস্টেমে বিডা, এসবি এবং এনএসআই সংযুক্ত হয়ে কাজ করছে। নতুন করে অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স সিস্টেমটির কার্যক্রম আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে “Enhancement of Online Security Clearance System (SCS) Software” এই নামে ২৭ মার্চ ২০২২ খ্রি. তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজনেস অটোমেশনের মধ্যে নতুন করে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এই চুক্তির ফলে নতুন করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের আরো দুটি সেবা যেমনঃ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার চাকুরী পার্থীদের (৯ম ও ১০ম গ্রেড/নন ক্যাডার) প্রাক পরিচিতি যাচাই এবং বিদেশে বিভিন্ন কারণে আটকে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম অনলাইন সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে অল্প সময়ে গ্রাহক তার চাহিদা মোতাবেক সেবা গ্রহন করতে পারবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সরকারি চাকুরিজিবীদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স এবং বিদেশে বিভিন্ন কারণে আটকে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়াটি এখন থেকে সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমেই হবে।
এই সিস্টেমটি চালু হবার ফলে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা/দপ্তর/অধিদপ্তর এর ব্যবহারকারীরা আবেদনের অবস্থান সম্পর্কে জেনে কি করনীয় তা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
এতে করে সেবা গ্রহীতা খুব অল্প সময়ে ঝামালে বিহীন সেবা গ্রহন করতে পারবেন। এ অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে সচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হবে।